দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের যুগীপাড়ার মোড় হতে মাঝাপাড়ার যাওয়ার ৫১৫ মিটার রাস্তা পাকাকরণে ৭ দিনের মাথায় পা দিয়ে ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচ। নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বেহাল অবস্থা সড়কটির এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটির নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী।
এতে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের মুখে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে এই ঘটনায়। ঐ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের এসব সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকবার ঐ ঠিকাদারকে জানালেও তিনি তাদের অভিযোগ গুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার ৬/৭ দিন পর হতেই ঐ রাস্তার পিচে হাত দিলেই তা উঠে যাচ্ছে।
এছাড়াও রাস্তা দিয়ে হালকা যানবাহেেনর চাপেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। আবার সেই রাস্তায় ঠিক মত রোলার ব্যবহার না করায় রাস্তাটি বেশ কয়েকটি জায়গায় উঁচু-নিচু হয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার আক্কাস আলীর মুঠোফোনে রাস্তায় অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে সরাসরি সাক্ষাৎ এ কথা হবে। দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাপস কুমার বাগচি বলেন, রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও পিচ উঠে যাওয়ার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ জানান, বর্ষাকালে রাস্তার পিচের কাজ করার বিষয়ে নিষেধ করা সত্বেও ঠিকাদার জোরপূর্বক তা করেন। পুনরায় রাস্তা সংস্কার না করা পর্যন্ত কাজের বিল প্রদান করা হবে না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।